মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা প্রতিনিধি ঃ
অতি বৃষ্টি ও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় বান্দরবানের লামায় এবছর বাদামের ফলন ভালো হয়নি। মূলধন হারিয়ে দেওলিয়া হওয়ার আশংকা করছে উপজেলার প্রায় ২ শতাধিক বাদাম চাষী। মাতামুহুরী নদী, লামা খাল, পোপা খাল, বমু খাল, ও ডলু খাল এর পাড়ে এবং বিশেষ করে বালি প্রধান জমিতে চাষ করা হয়েছে বাদামের।
মাতামুহুরী নদীর লামামুখ এলাকার বাদাম চাষী হাবিবুর রহমান জানান, আমি ৬ কানি জমিতে বাদাম চাষ করেছি। এবছর প্রতি কানিতে ফলন অনুসারে সর্বোচ্চ বিক্রি হবে ২৩ থেকে ২৪ হাজার টাকা। অথচ আমার প্রতি কানিতে খরচ হয়েছে ২৮ হাজার টাকা। কানি প্রতি ফলন হয়েছে গড়ে ১০মণ। বর্তমানে বাজারের বাদামের মণ প্রতি মূল্য ২৪০০ টাকা। চাষাবাদে কারিগরি অনেক সমস্যায় পড়লেও কখনও কৃষি অফিসের কাউকে পাওয়া যায়নি।
মাতামুহুরী নদীর মেরাখোলা এলাকার বাদাম চাষী বাবুল কান্তি বসাক জানান, গত বছর থেকে এবছর বাদামের ফলন কম হয়েছে। প্রতিটি গাছে ফলন গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম বাদাম হওয়ার কথা থাকলেও এবার ৭০-১০০ গ্রাম বাদাম হয়েছে। তাছাড়া মহাজন থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে বাদাম চাষ করায় লাভ মূখ দেখবেনা বাদাম চাষীরা। ব্যাংকে কৃষি ঋণ নিতে গেলে যথেষ্ট হয়রানীর শিকার হচ্ছে সাধারণ কৃষকরা।
লামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম জানান, পরামর্শ প্রদানে কৃষি কর্মকর্তাদের গাফিলতি থাকলে খতিয়ে দেখা হবে। তবে লামা উপজেলায় কিছু কিছু মাটি বাদাম চাষে উপযোগী বলেই বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে চাষিরা। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর বাদাম চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। বাদাম চাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকে উদ্যোগী হচ্ছে বাদাম চাষে। কৃষি ঋণ আরো সহজ লভ্য করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
পাঠকের মতামত: